টিসিবি‘র পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম, পণ্যসহ জনতার হাতে ধরা পরার পর যৌথ বাহিনীর হাতে দেয়া হয় সুমন নামে এক ব্যক্তিকে।
গত বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায় গত মঙ্গলবার টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হয় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে। প্রতি কার্ডের বিপরীতে দেওয়া হয় এক কেজি চাল,এক কেজি ডাল ও এক কেজি সয়াবিন তেল।পণ্য বিতরণের সময় অনেক কার্ডধারী পণ্য না পেলেও অনেকে একটি মাত্র কার্ড দিয়ে একাধীক কার্ডের মাল উত্তোলন করেন।
এসময় সুমন নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরেন জনতা। তিনি একাই উত্তোলন করে ছয়টি কার্ডের মাল।পরে জনতা তাকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখে রাতভর পাহাড়া দেয়।এসময় ইউনিয়ন পরিষদ পাঞ্জেখানার ইমাম শহীদুলের নামেও একই অভিযোগ ওঠে।তবে তাকে ঘটনা স্থলে পাওয়া যায় নি।তবে শহীদুলের রাখা টিসিবির পণ্য পাওয়া যায় পরিষদের অন্য একটি কক্ষে।অভিযোগটির তদনতের স্বার্থে তাকে ইমামের পদ থেকে বাদ দেন চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক মো: আবু তালহা।
এসময় জনতা একই অভিযোগ তোলে প্রশাসকের বিরোদ্ধেও। উপস্থিত জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসকের প্রতি অভিযোগের তীর ছোরে বলেন প্রশাসক মো: আবু তালহা নিয়মিত পরিষদে আসেন না, তার সময়ে মানুষ ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া পরিষদে টাকা ছাড়া কোন সেবা মিলে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক মো: আবু তালহা বলেন-টিসিবির পণ্য বিক্রয় এটি ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাজ নয়।একজন সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতে টিসিবির পণ্য বিতরণ করেন ডিলার। পণ্যের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয় ইউনিয়ন পরিষদে। এটি প্রশাসনের অনুমতিক্রমেই রাখা হয় পরিষদে। প্রশাসকের কাজ না হওয়ায় এখানে আমার অনিয়ম করার কোন সুযোগ নাই।অন্যাণ্য অভিযোগের কথা জানতে চাইলে তিনি বলে- সপ্তাহে দুই দিন অফিস করার কথা আমার ইউনিয়ন পরিষদে, জেলা অফিসে কোন মিটিং না থাকলে আমি নিয়মিত অফিস করি।আমার অফিসে কোন টাকা পয়সা লেন-দেন হয় না।আমি আমার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করি।
আ/গ