শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
অনলাইন নিউজ পোর্টাল গনরাজ24- ইতিমধ্যে পাঠক সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও নির্ভিক সংবাদকর্মীরা। এই তালিকায় আপনাকেও যোগ হবার সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি । শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক/সমমান। অভিজ্ঞদের শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য । অভিজ্ঞতাঃ গণমাধ্যমে নূন্যতম ১/২ বছরের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । মোবাইল- 01784-262101, ই-মেইল- gonoraj24@gmail.com
Toggle navigation
প্রচ্ছদ
সর্বশেষ
বিশেষ সংবাদ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
ময়মনসিংহ-বিভাগ
ঢাকা-বিভাগ
চট্টগ্রাম-বিভাগ
খুলনা-বিভাগ
বরিশাল-বিভাগ
রাজশাহী-বিভাগ
রংপুর-বিভাগ
সিলেট-বিভাগ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
ছবি
ভিডিও
নাগরিক কর্নার
ফিচার
ভ্রমণ কাহিনী
সাহিত্য
সংবাদ
মতামত
অন্যান্য
ই-পেপার
ধর্ম
চাকরি
বাণিজ্য
বিজ্ঞান
লাইফস্টাইল
শিরোনাম :
ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি‘র পণ্য বিতরণে অনিয়ম
পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় দুর্ধর্ষ চোরি,ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে
খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল
নবগঠিত শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল
শম্ভুগঞ্জ ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল
গৌরীপুর মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা সফর
৪১ সদস্য বিশিষ্টি চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের পুষ্পস্তবক অর্পণ
ঐতিহ্যবাহী গৌরীপুর মহিলা কলেজে নবাগত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের যোগদান
হোম
জাতীয়
,
সাহিত্য
বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাজন
গণরাজ ডেক্স
আপডেটের তারিখ : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩
সময় 2 years আগে
৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগের বরেণ্য কবি-সাহিত্যিকগণ। ফাইল ছবি।
বাংলা ভাষায়
রচিত সাহিত্যকর্ম
বাংলা
সাহিত্য নামে পরিচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলা ভাষায়
সাহিত্য
রচনার সূত্রপাত হয়। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত
বৌদ্ধ
দোহা-সংকলন
চর্যাপদ
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। আবিষ্কারক
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
আরও তিনটি গ্রন্থের সঙ্গে চর্যাগানগুলো নিয়ে সম্পাদিত গ্রন্থের নাম দেন ” হাজার বছরের পুরনো বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোহা “। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ছিল কাব্যপ্রধান।
ইসলাম ধর্ম
,
হিন্দু ধর্ম
ও বাংলার লৌকিক ধর্মবিশ্বাসগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এই সময়কার বাংলা সাহিত্য।
ইসলামি ধর্মসাহিত্য
,
পীরসাহিত্য
,
বাউল পদাবলি
,
পবিত্র কুরআনের বঙ্গানুবাদ
,
মঙ্গলকাব্য
,
বৈষ্ণব
পদাবলি
,
শাক্তপদাবলি
, বৈষ্ণব সন্তজীবনী,
রামায়ণ
,
মহাভারত
ও ভাগবতের বঙ্গানুবাদ,
নাথসাহিত্য
ইত্যাদি ছিল এই সাহিত্যের মূল বিষয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাত হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে
বাংলার নবজাগরণের
যুগে
কলকাতা
শহরকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। এই সময় থেকে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বদলে মানুষ, মানবতাবাদ ও মানব-মনস্তত্ত্ব বাংলা সাহিত্যের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে
ভারত বিভাগের
পর বাংলা সাহিত্যও দুটি ধারায় বিভক্ত হয়:
ঢাকা
-কেন্দ্রিক
বাংলাদেশের সাহিত্য
ও
কলকাতা
-কেন্দ্রিক
পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য
। বর্তমানে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের একটি অন্যতম, সমৃদ্ধ সাহিত্যধারা হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
যুগ বিভাজন
মূল
নিবন্ধ
:
বাংলা
সাহিত্যের
ইতিহাস
বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাস প্রধানত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত:
আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ (আনুমানিক ৬৫০ খ্রি. মতান্তরে ৯৫০ খ্রি.–১২০০ খ্রি.)
মধ্যযুগ (১২০১ খ্রি.–১৮০০ খ্রি.)
আধুনিক যুগ (১৮০১ খ্রি.–বর্তমান কাল)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ইতিহাসের মতো নির্দিষ্ট সালতারিখ অনুযায়ী সাহিত্যের ইতিহাসের যুগ বিভাজন করা সম্ভব নয়। যদিও সাহিত্যের ইতিহাস সর্বত্র সালতারিখের হিসেব অগ্রাহ্য করে না। সাহিত্যকর্মের বৈচিত্র্যে ও বৈশিষ্ট্যে নির্দিষ্ট যুগের চিহ্ন ও সাহিত্যের বিবর্তনের ধারাটি বিশ্লেষণ করেই সাহিত্যের ইতিহাসে যুগবিভাগ করা হয়ে থাকে।
আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ
বিষ্ণুর
সম্মুখে প্রণত
জয়দেব
; বাংলার বৈষ্ণব সাহিত্যে তাঁর
গীতগোবিন্দম্
কাব্যের প্রভাব অনস্বীকার্য। এমনকি
রবীন্দ্রনাথের
প্রথম জীবনে রচিত কাব্যেও জয়দেবের প্রভাব ছিল অত্যন্ত গভীর।
বাংলা সাহিত্যের উন্মেষের পূর্বে বাংলায়
সংস্কৃত
,
প্রাকৃত
ও
অবহট্ঠ ভাষায়
সাহিত্য রচনার রীতি প্রচলিত ছিল। এই সাহিত্যের মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্যের আদি অধ্যায়ের সূচনা হয়।
[
৩
]
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে তুর্কি আক্রমণের বহু পূর্বেই বাঙালিরা একটি বিশেষ জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। উন্মেষ ঘটে বাংলা ভাষারও। তবে প্রথম দিকে বাংলায় আর্য ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি ও অনার্য সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেনি। সংস্কৃত ভাষায় লেখা
অভিনন্দ
ও
সন্ধ্যাকর নন্দীর
রামচরিত
, শরণ, ধোয়ী, গোবর্ধন,
উমাপতি ধরের
কাব্যকবিতা,
জয়দেবের
গীতগোবিন্দম্
,
কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়
ও
সদুক্তিকর্ণামৃত
নামক দুটি সংস্কৃত শ্লোকসংগ্রহ; এবং অবহট্ঠ ভাষায় রচিত কবিতা সংকলন
প্রাকৃত
–
পৈঙ্গল
বাঙালির সাহিত্য রচনার আদি নিদর্শন। এই সকল গ্রন্থ বাংলা ভাষায় রচিত না হলেও সমকালীন বাঙালি সমাজ ও মননের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
[
৪
]
[
৫
]
পরবর্তীকালের বাংলা বৈষ্ণব সাহিত্যে
গীতগোবিন্দম্
কাব্যের প্রভাব অনস্বীকার্য।
বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন হল
চর্যাপদ
। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত চর্যা পদাবলি ছিল সহজিয়া
বৌদ্ধ
সিদ্ধাচার্যদের সাধনসংগীত। আধুনিক ভাষাতাত্ত্বিকগণ বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণের সাহায্যে প্রমাণ করেছেন যে চর্যার ভাষা প্রকৃতপক্ষে হাজার বছর আগের বাংলা ভাষা। সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্র এই পদগুলিতে প্রতিফলিত হয়েছে। সাহিত্যমূল্যের বিচারে কয়েকটি পদ কালজয়ী।
মধ্যযুগ
মধ্যযুগ ১২০০ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সম্প্রসারিত। মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন
বড়ু চণ্ডীদাসের
‘
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
’। আনুমানিক চৌদ্দ শতকের শেষার্ধে বা পনেরো শতকের প্রথমার্ধে বড়ু চণ্ডীদাস রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনি অবলম্বনে এ কাব্য রচনা করেন। এ সময় মৈথিলি কবি
বিদ্যাপতি
ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণের প্রেমবিষয়ক পদ রচনা করেছিলেন। মধ্যযুগের প্রথম মুসলমান কবি
শাহ মুহম্মদ সগীর
পঞ্চদশ শতকে প্রণয়োপখ্যান জাতীয় কাব্য “
ইউসুফ-জোলেখা
” রচনা করেন। এর বাইরে অনুবাদসাহিত্য মধ্যযুগের অনেকখানি অংশজুড়ে আছে। এ ধারার সূত্রপাত হয় কবি
কৃত্তিবাস
কর্তৃক রামায়ণের বঙ্গানুবাদের মাধ্যমে। পরবর্তীতে বাংলায় আরও অনূদিত হয়েছে অসংখ্য গ্রন্থ। মধ্যযুগের বিশাল পরিসর জুড়ে ছিলো
মঙ্গলকাব্য
। দেবদেবীর মাহাত্ম্যসূচক এই কাব্যধারার সূত্রপাত হয় পনের শতকে। তবে ষোল শতকে এর সর্বাধিক প্রসার ঘটে।
ধর্মমঙ্গল
,
মনসামঙ্গল
, শিবমঙ্গল বা
শিবায়ন
,
চণ্ডীমঙ্গল
ইত্যাদি এ পর্যায়েরই নানা শাখা। এই ধারার অন্যতম কবি মাণিক দত্ত,
কানাহরি দত্ত
,
বিজয়গুপ্ত
,
বিপ্রদাস পিপিলাই
,
কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
,
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
প্রমুখ।
শ্রীচৈতন্যদেবের
(১৪৮৬-১৫৩৩) আবির্ভাবের ফলে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ সমৃদ্ধির পথে অনেকখানি এগিয়ে যায়। মধ্যযুগেই আরাকানের রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের চর্চা আরম্ভ হয়। এছাড়া শাক্ত পদাবলী,
নাথসাহিত্য
,
বাউল
ও অপরাপর
লোকসঙ্গীত
,
ময়মনসিংহ গীতিকা
,
পূর্ববঙ্গ-গীতিকা
ইত্যাদি অমূল্য সাহিত্য মধ্যযুগেরই সৃষ্টি।
মধ্যযুগীয় বাংলা অনুবাদ সাহিত্য
মধ্যযুগীয় বাংলা অনুবাদ সাহিত্য মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বিস্তৃত অঙ্গন জুড়ে অনুবাদ সাহিত্যের চর্চা হয়েছিল এবং পরিণামে এ সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধিসাধনে অনুবাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সকল সাহিত্যের পরিপুষ্টিসাধনে অনুবাদমূলক সাহিত্যকর্মের বিশিষ্ট ভূমিকা আছে। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয় না। সমৃদ্ধতর নানা ভাষা থেকে বিচিত্র নতুন ভাব ও তথ্য সঞ্চয় করে নিজ নিজ ভাষার বহন ও সহন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলাই অনুবাদ সাহিত্যের প্রাথমিক প্রবণতা। উন্নত ও সমৃদ্ধ ভাষা-সাহিত্যের সান্নিধ্যে এলে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিশব্দ তৈরি করা সম্ভব হয়, অন্য ভাষা থেকে প্রয়োজনীয় শব্দও গ্রহণ করা যায়। অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ বক্তব্য আয়ত্তে আসে। ভাষা ও সাহিত্যের যথার্থ সমৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রেষ্ঠ ও সম্পদশালী ভাষায় উৎকর্ষপূর্ণ সাহিত্যসৃষ্টির অনুবাদ একটি আবশ্যিক উপাদান।
জ্ঞানবিজ্ঞানের বিষয়ের বেলায় শুদ্ধ অনুবাদ অভিপ্রেত। কিন্তু সাহিত্যের অনুবাদ শিল্পসম্মত হওয়া আবশ্যিক বলেই তা আক্ষরিক হলে চলে না। ভিন্ন ভাষার শব্দ সম্পদের পরিমাণ, প্রকাশক্ষমতা ও বাগভঙ্গি অনুযায়ী ভিন্ন ভাষায় ব্যক্ত কথায় সংকোচন, প্রসারণ, বর্জন ও সংযোজন আবশ্যিক হয়। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে যে অনুবাদের ধারাটি সমৃদ্ধি লাভ করে তাতে সৃজনশীল লেখকের প্রতিভা কাজ করেছিল। সে কারণে মধ্যযুগের এই অনুবাদকর্ম সাহিত্য হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে।
ত্রয়োদশ শতাব্দী: বাংলা সাহিত্যের “অন্ধকার যুগ”
বাংলা সাহিত্যের
১২০১
–
১৩৫০
খ্রি. পর্যন্ত সময়কে “অন্ধকার যুগ” বা “বন্ধ্যা যুগ” বলে কেউ কেউ মনে করেন।
হুমায়ুন আজাদ
তার “
লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী
” গ্রন্থে (পৃ. ১৭) লিখেছেন- “
১২০১
থেকে
১৩৫০
পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রচিত কোন সাহিত্য কর্মের পরিচয় পাওয়া যায়না বলে এ-সময়টাকে বলা হয় ‘অন্ধকার যুগ’। পণ্ডিতেরা এ-সময়টাকে নিয়ে অনেক ভেবেছেন, অনেক আলোচনা করেছেন, কিন্তু কেউ অন্ধকার সরিয়ে ফেলতে পারেন নি।এ- সময়টির দিকে তাকালে তাই চোখে কোন আলো আসেনা, কেবল আঁধার ঢাকা চারদিক।” কিন্তু,
ওয়াকিল আহমদ
তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের পুরাবৃত্ত’ (পৃ. ১০৫)-এ লিখেছেন- “বাংলা সাতিহ্যের কথিত ‘অন্ধকার যুগ’ মোটেই সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্বের যুগ ছিল না। ধর্ম -শিক্ষা শিল্প চর্চার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত ছিল, তারা সীমিত আকারে হলেও
শিক্ষা
সাহিত্য
চর্চায় নিয়োজিত ছিলেন। তবে, কি
হিন্দু
কি
মুসলমান
কেউ লোকভাষা
বাংলাকে
গ্রহণ করেননি। বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন না থাকার এটাই মুখ্য কারণ।”
এসময়ের
সাহিত্য
নিদর্শন: ১. প্রাকৃত ভাষার গীতি কবিতার সংকলিত গ্রন্থ ‘প্রাকৃত পৈঙ্গল’ ২.
রামাই পণ্ডিত
রচিত ‘শূন্যপুরাণ’ (
গদ্য
পদ্য
মিশ্রিত) ৩. হলায়ুধ মিশ্র রচিত ‘সেক শুভোদয়া’ (
গদ্য
পদ্য
মিশ্রিত) ৪. ডাক ও
খনার বচন
‘নিরঞ্জনের উষ্মা’ শূন্যপুরাণ এর অন্তর্গত একটি কবিতা।
আধুনিক যুগ
মূলত বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগ নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও,মোটামুটি ভাবে ১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দে
ভারত চন্দ্রের
মৃত্যুর পর থেকেই বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের সূত্রপাত বলে নানা সমালোচক মতপ্রকাশ করেছেন। কালের দিক থেকে আধুনিক যুগকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যায়- ১৭৬০-১৭৯৯খ্রিঃ(আধুনিক যুগের প্রথম পর্ব) ১৮০০-১৮৫৮খ্রিঃ(আধুনিক যুগের দ্বিতীয় পর্ব) ১৮৫৯-১৯০০খ্রিঃ(আধুনিক যুগের তৃতীয় পর্ব) ১৯০১-১৯৪৭খ্রিঃ(আধুনিক যুগের চতুর্থ পর্ব) ১৯৪৮-২০০০খ্রিঃ(আধুনিক যুগের পঞ্চম পর্ব) ২০০১খ্রিঃ- বর্তমানকাল(আধুনিক যুগের ষষ্ঠ পর্ব)
আ/গ /ম
আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন
Facebook
Twitter
Digg
Linkedin
Reddit
Google Plus
Pinterest
Print
এই বিভাগের আরো খবর
ময়মনসিংহে অপারেশন ডেভিল হান্টে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ২২ জন
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগেই অবস্থান করবেন সুপারিশ প্রাপ্ত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকগণ
রমজান উপলক্ষ্যে সয়াবিন তেল ছোলা,খেজুরসহ পাঁচটি পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি
সুস্থ্য সাংবাদিকতা ও সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের যাত্রা শুরু
গুদামে ১২ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত, তিন প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
মেঘনা নদীর পানি বাড়ায় কিশোরগঞ্জের জোয়ানশাহী হাওরের ৩০ হাজার কৃষকের আতঙ্ক
সর্বশেষ আপডেট
জনপ্রিয় পোস্ট
ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি‘র পণ্য বিতরণে অনিয়ম
পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় দুর্ধর্ষ চোরি,ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে
খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল
নবগঠিত শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল
শম্ভুগঞ্জ ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল
গৌরীপুর মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা সফর
৪১ সদস্য বিশিষ্টি চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের পুষ্পস্তবক অর্পণ
ঐতিহ্যবাহী গৌরীপুর মহিলা কলেজে নবাগত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের যোগদান
©
স্বত্ব © ২০২3 গনরাজ24
Support : ESAITBD Software Lab Dhaka