গণরাজ ডেক্স: ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের তৈরি রকেট উড্ডয়নের অপেক্ষায় আছে,অনুমতি পেলেই স্বপ্নের রকেট উড়বে আকাশে।
গতকল বুধবার থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী নাহিয়ান আল রহমান ওরফে অলি বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞানি হিসাবে রকেট তৈরি করেছেন। সরকারের অনুমোদন পেলেই রকেটটি উড্ডয়ন করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রকেটটির একটি ছবিও প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই অনেকেই রকেট দেখতে ভিড় করেন ময়মনসিংহ নগরের রহমাতপুর এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।
মানুষের আগ্রহ মেটাতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রকেটটি ক্যাম্পাসের উন্মুক্ত স্থানে রাখা হয়। পরে বিভিন্ন পেশার অনেক মানুষ এটি দেখতে ভিড় করে।
রকেটটি তৈরির প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা নাহিয়ান আল রহমানের সঙ্গে এটি তৈরিতে কাজ করেন আরও অন্তত ২০ জন। তাঁরা সবাই ময়মনসিংহ এঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী। নাহিয়ান নিজে আরও পাঁচ বছর আগে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পাস করেছেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাহিয়ান আল রহমান ছোট বেলা থেকেই রকেট তৈরির স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। তবে ২০১২ সাল থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের গবেষণাগারে এটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ২০১৭ সালে নাহিয়ান ট্রিপলি বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে চলে যান। এরপর ২০১৮ সালে আবারও নাহিয়ানের নেতৃত্বে কাজ শুরু হয়। করোনার কারনে ২০১৯ সালে তেমন অগ্রগতি হয়নি। তবে ২০২০সালের শেষের দিকে কাজ দ্রুত এগিয়ে যায়। সম্প্রতি এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
নাহিয়ান গণরাজকে বলেন, রকেটটি উপরের দিকে সবোর্চ্চ ২০ কিলোমিটার উড়তে পারবে। এটি প্রতিরক্ষার কাজ করতে সক্ষম হলেও মূলত আবহাওয়া গবেষণা কাজের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। নিজেদের তৈরি একটি সফটওয়্যায়ের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে সরকারি অনুমোদন পেলে এটি উড্ডয়ন করা হবে।
নাহিয়ান আরও জানান, রকেটটির জ্বালানি হিসাবে শুরুতে ইথানল ও তরল অক্সিজেন ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছিল। এরপর তরল অক্সিজেনের দাম বেড়ে গেলে অন্য জ্বালানির কথা ভাবা হয়েছে। তবে ওই জ্বালানির নাম আপাতত বলা যাবে না।