নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত ব্যবসায়ীরা পৃথিবী নামক এই গ্রহটিকে দখল করে নিচ্ছে। মানুষের আবাসস্থল গ্রাম আর গ্রামীণ অবকাঠামো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। অতল তলে তলিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের সরল জীবনপ্রণালি। দাম্ভিকতা আর অর্থের পিছনে ছুটছে সবাই। জীবন যেন এক চলন্ত রেলগাড়িতে পরিণত হয়েছে। সমাজ, ধর্ম,কর্ম সবকিছুই এখন আধুনিক রুপে সজ্জিত। সব কর্মেই এখন মানুষ আর মানবিকতা বোধ খুঁজে না, খুঁজে শুধু অর্থ। সবকিছু এখন ব্যবসায়। সমাজ, সামাজিকতা ও এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
ধর্ম গুরুদের কাছে ধর্ম এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ পণ্য বলে পরিগণিত হচ্ছে। এই পণ্য ব্যবহার করে রাতারাতি হয়ে যাচ্ছ অর্থ -বিত্ত, ক্ষমতা, প্রতি- পত্তি এবং আলোচিত । জন মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি , সমাজে জটিলতার সৃষ্টি করে প্রতিটি ধর্মের ভিতরে বিভিন্ন মতভেদ তৈরি করে, ধর্মের মূলমন্ত্র থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। ধর্মের মূলমন্ত্র থেকে সরে পৃথিবী এখন মৃত্যু কূপে পরিণত হয়েছে। একটু লক্ষ্য করলে আমরা দেখবো ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া এবং সর্বশেষ ইউক্রেনে কি হচ্ছে? বিন্দু মাত্র ধর্ম জ্ঞান থাকলে একজন অন্য জনকে হত্যা করতে পরাতো না। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি প্রাণী অন্য একটি প্রাণিকে হত্যা করে না। কারণ প্রাণী তার ধর্মে অবিচল। ধর্ম থেকে এক বিন্দু ও বিচ্যুত হয় নি।
মানব ধর্মের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় প্রতিটি ধর্ম তাদের মূলমন্ত্র থেকে সরে দলে উপদলে খণ্ড বিখণ্ড বিভক্ত। এর মূল কারণ ব্যবসায়। ব্যবসায়িদের মূলমন্ত্র হলো মুনাফা অর্জন। মুনাফার জন্য ধর্ম নয় জন্ম দাতাকেও কেউ পণ্যে পরিণত করে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ি গণ কখনো কোন মায়ে গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেনি। কোন বাবা তাদের জন্ম দেয়নি । যদি তাই না হয় প্রতি নিয়ত ব্যবসায়ের জন্য পণ্যে ভেজাল মিশিয়ে প্রতিনিয়ত পৃথিবী থেকে বিদায় দিতো না তাজা প্রাণ। খালি করতো না অসংখ্য মায়ের কোল। অসংখ্য সন্তান কে করতো না এতিম। শুধু ব্যবসায়ের জন্য, পণ্যে ভেজাল করে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু কোপ। শুধু পণ্য নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাই নয়,প্রতিটি পেশার সাথে জড়িত সকলেই ব্যবসায়ি।
শিক্ষক এর কথা বলেতে গেলে তারাও এখন ব্যবসায়ি। শিক্ষাকে পণ্য হিসাবে পকেজ করে বিক্রি করে। A+ নামক মেওয়াফল শিক্ষক গণ বিক্রি করে। এমনকি বাড়ি বাড়ি ফেরি করে বেড়ায়। অথচ তারা জানে না শিক্ষক কি? শুধু ব্যবসায়ের জন্য এমন করে।
চিকিৎসা পেশায় জড়িত তারা তো সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী। তারা এখন বাংলাদেশে খসাই শব্দ কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন । এমন না হলে হাসপাতালে সামনে মা সন্তান প্রসব করে মৃত্যু বরণ করে, তাবু সেবা পায় না। কারণ ব্যবসা। চিকিৎসক গণ সরকারি টাকায় লেখাপড়া করে সরকারি হাসপাতালে চাকরি করে সেবা দেয় ক্লিনিকে।