গতকাল সম্পন্ন হয়েছে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী শেষকৃত্য। শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। শুরুতে জানা যায়, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার (ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়) কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের দিন প্রখ্যাত এই সুরকারের মেয়ের জামাই গোবিন বনসল ভিন্ন তথ্য দিলেন।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গোবিন বনসাল বলেন—‘ওই দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ডিনার করেন তিনি, প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে খাবার খান। তারপর আচমকাই হার্ট অ্যাটাক হয়, পালস পড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে আমি হাসপাতালে ছুটে যাই; রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি সিনেমা জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পি লাহিড়ীর। হিন্দিতে ডিস্কো ড্যান্সার, চলতে চলতে, শরাবি, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালোবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি সিনেমায় সুর দিয়েছেন; গেয়েছেন একাধিক গান। কিশোর কুমার সম্পর্কে ছিলেন বাপ্পির মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ও মা বাঁশরী লাহিড়ী— দুজনেই সংগীত জগতের মানুষ। ফলে পুত্র বাপ্পি ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মা-বাবার কাছেই প্রথম গানের তালিম নেন। মা-বাবা নাম দিয়েছিলেন অলোকেশ, কিন্তু জনপ্রিয়তা পান বাপ্পি লাহিড়ী নামে।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। তারপর দীর্ঘদিন বাংলা ও হিন্দি সিনেমায় গান গেয়েছেন, সুর দিয়েছেন। শরীরে প্রচুর সোনার গহনা পরতে ভালোবাসতেন। বলতেন, ‘আমার ভগবানের নাম সোনা!’ ছিল গায়কির নিজস্ব কায়দা, যা তাকে হিন্দি সিনেমা জগতে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায়। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার এবং সম্মাননা।