Logo
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
অনলাইন নিউজ পোর্টাল গনরাজ24- ইতিমধ্যে পাঠক সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও নির্ভিক সংবাদকর্মীরা।  এই তালিকায় আপনাকেও যোগ হবার সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি । শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক/সমমান। অভিজ্ঞদের শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য । অভিজ্ঞতাঃ গণমাধ্যমে নূন্যতম ১/২ বছরের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । মোবাইল- 01784-262101, ই-মেইল- gonoraj24@gmail.com
শিরোনাম :
ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি‘র পণ্য বিতরণে অনিয়ম পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় দুর্ধর্ষ চোরি,ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল নবগঠিত শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল শম্ভুগঞ্জ ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল গৌরীপুর মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা সফর ৪১ সদস্য বিশিষ্টি চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের পুষ্পস্তবক অর্পণ ঐতিহ্যবাহী গৌরীপুর মহিলা কলেজে নবাগত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের যোগদান

দেশি প্রজাতির মাছ কমছে হাকালুকি হাওরে

গণরাজ ডেক্স
  • আপডেটের তারিখ : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২
  • সময় 3 years আগে
  • ২৩২ বার পড়া হয়েছে
হাকালুকি হাওর। ছবি: সংগৃহীত।

মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর। বিশাল এই হাওরে একসময় ছিল ১১২ প্রজাতির মাছের চারণক্ষেত্র। মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম না থাকা, সারা বছর নির্বিচারে মাছ শিকার এবং বিল শুকিয়ে মাছ ধরায় দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে নানা প্রজাতির দেশী মাছ। বর্তমানে এই হাওড়ে ১০৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যায়।

স্থানীয় মৎস্যজীবী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নানা প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। তবে এই প্রাকৃতিক কারণের চেয়েও মানুষের আগ্রাসী ভূমিকাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিল ইজারা নিয়ে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এছাড়া নীতিমালা না মেনে বিল শুকিয়ে মাছ ধরায় হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রজাতির মাছ। বিলে পাবদা, কাকিলা, চিতল, ফলি, কালবাউসসহ বিপন্ন প্রজাতির মাছের দেখা মিললেও মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চড়া দামের কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে এসব মাছ।

হাকালুকি হাওরের মাছ ব্যবসায়ী মোহন মিয়া বলেন, মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম না থাকা, সারাবছর নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার এবং বিল শুকিয়ে মাছ ধরায় দিনদিন মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আমরা আগের মতো মাছ পাই না।

হাকালুকি হাওর পাড়ের ভুকশিমহল গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটিয়ে বিল ইজারা নেন। তাদের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে আমাদের দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত হাওরের বিলগুলোতে সুস্বাদু নানা জাতের মাছ ধরা পড়তো। এখনো শেষ রক্ষায় রুই, বোয়াল, আইড় মাছের পাশাপাশি চাপিলা, টেংরা, মলা, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ওঠে জেলেদের জালে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ জোরদার না হলে তা-ও হারিয়ে যাবে।

এলাকার মৎস্যজীবী ছয়ফুল মিয়া বলেন, হাওর ভরাটসহ নানা কারণে এবার মাছের উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে গত বছরের চেয়ে হাওরে তুলনামূলক মাছ কম ধরা পড়ছে। যে কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ।

কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাসুদুল বলেন, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে ছোট-বড় ২৩৮টি বিলে প্রায় ১১২ প্রজাতির মাছের চারণক্ষেত্র ছিল। বর্তমানে এই হাওড়ে ১০৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যায়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা প্রতি বছর মাছের পোনা অবমুক্ত করার মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছি হাওরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার জন্য সব মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। ইজারাদারদের সচেতন করার জন্য মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে মতবিনিময় করে থাকি। তারা অনেক সময় ইজারা নীতিমালা লঙ্ঘন করেন। আমরা হাওরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি।

হাকালুকি হাওর। ছবি: সংগৃহীত।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর আয়তনের হাকালুকি হাওরে প্রতিবছর ১৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। চলতি মৌসুমে উৎপাদন কিছুটা কমলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে। এবছর হাকালুকিতে (মৌলভীবাজার অংশে) এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। গত বছর যা ছিল সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন।

আ/গ

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© স্বত্ব © ২০২3  গনরাজ24
Support : ESAITBD Software Lab Dhaka