Logo
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
অনলাইন নিউজ পোর্টাল গনরাজ24- ইতিমধ্যে পাঠক সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও নির্ভিক সংবাদকর্মীরা।  এই তালিকায় আপনাকেও যোগ হবার সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি । শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক/সমমান। অভিজ্ঞদের শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য । অভিজ্ঞতাঃ গণমাধ্যমে নূন্যতম ১/২ বছরের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । মোবাইল- 01784-262101, ই-মেইল- gonoraj24@gmail.com
শিরোনাম :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শম্ভুগঞ্জ সাংগঠনিক থানার কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত নির্বাচনী মাঠে সরব জামায়াতে ইসলামী — শম্ভুগঞ্জে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণসংযোগ বিএনপির ডা. জাহিদ হোসেনকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় ময়মনসিংহ সদরবাসী তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির লিফলেট বিতরণ। ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেনকে এমপি হিসেবে দেখতে চেয়ে ময়মনসিংহে লিফলেট বিতরণ ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি‘র পণ্য বিতরণে অনিয়ম পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় দুর্ধর্ষ চোরি,ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল নবগঠিত শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল শম্ভুগঞ্জ ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনে আরও একধাপ এগিয়ে

রিপোর্টারের নাম :
  • আপডেটের তারিখ : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২
  • সময় 4 years আগে
  • ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান পরিবেশ

মহাজাগতিক ঘর্ষণ বা বিগ ব্যাং-এর পরে মহাকাশ থেকে মাধ্যাকর্ষণের যে তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, প্রথমবারের মতো তা আবিষ্কৃত হয়েছে৷ এর থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে অনেক অজানা রহস্যের সমাধান সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷

    

মহাজাগতিক ঘর্ষণ বা বিগ ব্যাং ঠিক কত বছর আগে হয়েছিল, অর্থাৎ মহাবিশ্বের সৃষ্টি ঠিক কত কোটি বছর আগে – এটা নিয়ে আছে নানা জল্পনা-কল্পনা৷ সোমবার হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টারের জ্যাতির্পদার্থবিদরা জানান, যে তরঙ্গ প্রবাহের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, তা একটি মাইল ফলক৷

১৪শ’ কোটি বছর আগে এই তরঙ্গের উৎপত্তি হয়েছিল বলে জানান তাঁরা৷ এর সাথে আলবার্ট আইনস্টাইনের এক শতকের পুরোনো আপেক্ষিক তত্ত্বের মিল পাওয়া যায়৷ এ থেকে এই প্রথম ‘কসমিক ইনফ্লেশন’ বা মহাজাগতিক স্ফীতির সরাসরি তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেল৷ শুধু তাই নয়৷ এই তত্ত্ব থেকে এ কথা সহজেই বলা যায় যে, মহাবিশ্ব ‘চোখের পলক ফেলার সময়ে’ একশ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন গুণ বিস্তার লাভ করেছে৷

দক্ষিণ মেরুতে অবস্থানরত বিআইসিইপি-টু টেলিস্কোপের সাহায্যে এই আলোক তরঙ্গ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে৷

Claudius Ptolemy Universumমহাবিশ্বের সৃষ্টি ঠিক কত কোটি বছর আগে – এটা নিয়ে আছে নানা জল্পনা-কল্পনা

ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের দ্বারা স্বীকৃত হলে এই গবেষণাটি নোবেল পুরস্কারের জন্য পাঠানো হবে৷ সময় ব্যবধানের সাথে সাথে তরঙ্গগুলোর পরিবর্তনকে বিগ ব্যাং-এর প্রথম কম্পন বলে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা৷

আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স-এর সাথে যোগাযোগের ভিত্তিতে এই তথ্যের নিশ্চয়তা নির্ধারণ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ নাসা জানিয়েছে, এই আবিষ্কার যে শুধু মহাবিশ্বের রহস্য সম্পর্কে নিশ্চিত করবে তাই নয়, তার সঙ্গে যে শক্তি স্থান ও সময়কে বিভক্ত করছে, সে সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে৷

হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টারের জ্যাতির্পদার্থবিদ জন কোভাক, যিনি এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি জানান, ‘‘এই সংকেত নির্ধারণ আজকের মহাজাগতিক গবেষণায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার৷ তবে এর পেছনে অনেক মানুষের অনেক শ্রম ব্যয় হয়েছে৷”

বিআইসিইপি-টু টেলিস্কোপটির কাজ ছিল ছায়াপথের বাইরে আকাশের ‘সাউদার্ন হোল’ বা দক্ষিণাঞ্চলীয় গহ্বর থেকে ধূলিকণা বা ছায়াপথের অতিরিক্ত কোনো উপাদানের দেখা পাওয়া যায় কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা৷

বিগ ব্যাং-এর ফলে যে ‘কসমিক মাইক্রোওয়েভ’ বা মহাজাগতিক বেতারতরঙ্গ সৃষ্টি হয় তা, পর্যবেক্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ সেসময়ই তাঁদের চোখে আসে ছোট তরঙ্গের চাঞ্চল্য৷ যেটা তাঁরা ক্যামেরায় ধারণ করেন৷ ঐ স্থানটির বায়ু ভীষণ শুষ্ক ছিল বলেও জানান তাঁরা৷

মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ক্লেম প্রাইকে জানান, এ ধরনের জিনিসের সন্ধান পাওয়াটা আসলেই অভূতপূর্ব৷ ধারণা করা হয়, বিগ ব্যাং-এর ঠিক পরে মহাবিশ্ব ছিল নানা পদার্থের সংমিশ্রণে একটি গরম স্যুপের মতো৷ যা ঠান্ডা হতে লেগেছিল প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার বছর৷ এরপরই ঐ উপাদানগুলো অণুতে পরিবর্তিত হয়, সৃষ্টি হয় নক্ষত্র এবং ছায়াপথ৷ এর কয়েকশ’ কোটি বছর পর গ্যাস এবং ধূলিকণা সমৃদ্ধ গ্রহের সৃষ্টি হয়, যা নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরতে থাকে৷ এভাবেই ধীরে ধীরে মহাবিশ্ব বিস্তার লাভ করে৷বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তিন বছর ধরে সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন এই গবেষণায় কোনো ভ্রান্তি ছিল কিনা৷ প্রাইকের কথায়, ‘‘কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো, আমরা কোথা থেকে এসেছি – এ সব প্রশ্নের উত্তর হয়ত পাওয়া যাবে এ থেকে৷ তাছাড়া কীভাবে এই স্ফীতি ঘটলো এবং প্রক্রিয়াটি কতটা শক্তিশালী – তার জবাবও হয়ত পেয়ে যাব আমরা৷”

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)

আ/গ

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© স্বত্ব © ২০২3  গনরাজ24
Support : ESAITBD Software Lab Dhaka