ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে অপ্রচার করেছেন কতিপয় শিক্ষার্থী। এমন বানোয়াট অভিযোগের প্রতিবাদ ও অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষকেরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন শুরু হয়। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তা অব্যহত ছিল। বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ শিক্ষকের সঙ্গে জরুরী সভা করছিলেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানায যায়, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম আজাদ ৫৩ ব্যাচের একজন ছাত্রীকে যৌন হয়রান করেছেন এমন অভিযোগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজের একটি মানববন্ধন করেন কিছু শিক্ষার্থী। মানববন্ধনকারীদের দাবি ছিল, আবুল কালাম আজাদের বহিষ্কার।
তবে এমন অভিযোগকে একেবারে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন মেডিকেল কলেজের ৫৩ ব্যাচের সকল ছাত্রী ও কলেজের শিক্ষকেরা। গত রোববার দুপুরে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগকে বানোয়াট বলে , অপপ্রচারকারীদের শাস্তি দাবি করা হয়।
৫৩ ব্যাচের ছাত্রীদের দাবি, তাঁদের ব্যাচের ছাত্রীকে কেন্দ্র করে মিথ্যা প্রচার করা হলেও এমন কোন ছাত্রী বাস্তবে নেই। পুরো বিষয়টাই বানোয়াট অপপ্রচার। আবুল কালাম আজাদ তাঁদের কাছে পিতৃতুল্য অভিভাবক।
সার্জারি বিভাগের শিক্ষক মুনির হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আবুল কালাম আজাদ বিভাগীয় প্রধান হওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী অনৈতিক ভাবে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে আসে। কিন্তু আবুল কালাম আজাদ এসব অনৈতিক দাবি পুরণ করেন নাই। এ কারনে বিপথগামী শিক্ষার্থীরা এমন অপপ্রচার করে থাকতে পারে। এছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হতে কয়েক মাস বাকি। পরবর্তীতে আবুল কালাম আজাদ অধ্যক্ষ হতে পারেন। এ কারনেও শত্রুতা করে কেউ অপ্রচার করে থাকতে পারেন।
গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছিল। সে দাবির অগ্রগতি না হওয়ায় গতকাল থেকে শিক্ষকরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন শুরু করেছেন।
অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, আজ এ ব্যাপারে গুরুত্বপূণ বৈঠক চলছে। বৈঠক শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
গ/আ