নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থীকে আজ সোমবার ভোরে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে দুপুরে বমি শুরু হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জল কুমার প্রধান এ খবর গণরাজকে নিশ্চিত করেন।
নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম ওয়ালিদ নিহাদ। তিনি লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতয়ী বর্ষের শিক্ষার্থী।
আজ বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ওয়ালিদ নিহাদ গণরাজ’কে জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছাকাছি এলাকায় মেসে থাকেন। ব্যক্তিগত খুব জরুরি প্রয়োজনে গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একটি কক্ষে যান।
রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সে কক্ষ থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাঁকে ডেকে নিয় যান ৩২৪ নম্বর কক্ষে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়তে হলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হবে এবং ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসানের অনুসারী হয়ে চলতে হবে।
এ কথায় রাজি না হওয়ায় প্রথমে ওয়ালিদকে মারধর করা হয়। মারধরে অন্তত ১৫ জন অংশ নেন। মারধরের পর আহত ওয়ালিদকে একটি রামদা এনে দিয়ে বলা হয়, এটি হাতে নিয়ে হাসি মুখে ছবি তুলতে। ওয়ালিদকে বলতে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিএনপির ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের কর্মীদের এ ক্যাম্পাসে থাকতে দেওয়া হবে না।
ওয়ালিদ নিহাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
ওয়ালিদ নিহাদ আজ সকালে বলেন, মারধরের পর সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভ করছেন। বিশেষ করে ঘাড়ে বেশি ব্যাথা হচ্ছে। পরে দুপুরে বমি হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জল কুমার প্রধান বলেন, আজ ভোরে বিষয়টি আমি জেনেছি। ওয়ালিদকে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে ওয়ালিদের চিকিৎসাকে জোর দিচ্ছি। পরে তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বের করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান আজ দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে আমি জেনেছি। তবে এতে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার কোন কর্মী এমন কাজ করেনি।
গ/আ