গণরাজ ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যাই হোক, আমরা বিশ্বাস করি না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এ দেশে কখনোই সুষ্ট নির্বাচন হতে পারে না। ডা. জাফরউল্লাহ নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন , এটি তাঁর ব্যক্তিগত মত।
সারা দেশে নিত্য প্রয়োজনী পাণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে আজ সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের হরিকিশোর রায় সড়কের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আয়োজিত এ সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের সমালোচনাসহ সরকারের নানা বিষয়ে সমালোচনা করেন।
এছাড়া নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে বিএনপির মেনে নেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করায় মির্জা ফখরুল ডা. জাফরউল্লা বিএনপির কেউ নন বলে মন্তব্য করেন।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ডা. জাফরউল্লাহ নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন , এটি তাঁর ব্যক্তিগত মত। আমি তাঁকে (জাফরউল্লাহ) অনেক সম্মান করি। তিনি অত্যন্ত ভাল মানুষ। তবে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন মেনে নেওয়ার কথা বলার মত তিনি কেউ নন।
নিত্যপণ্যেও দাম বাড়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার তিন থেকে চার দফা তেল ও গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশে চার দফা বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার কারন, সরকারের কর্মকর্তারা দুর্নীতি করেন, ঘুষ খান। যে কারনে নিত্যপণ্যেও দাম না বাড়িয়ে সরকারের উপায় থাকে না।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক দল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁরা ঘরে ঘরে ভোট চেয়েছে। মানুষকে প্রতিশ্রতি দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ের পর তাঁরা মানুষকে লাথি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই তাঁরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
বর্তমান সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমিয়ে রাখতে সারা দেশে অন্তত ৩৫ হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে। মামলা ও পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক কর্মী আজ নিজের এলাকায় ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালিয়ে , ভ্যান চালিয়ে এমনকি নৈশ্য প্রহরীর কাজ করে জীবন চালাচ্ছেন। অবিলম্বে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যহার করতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্রের মা। তাঁরা নামে মিথ্যা দুর্নীতি মামলা দিয়ে সরকার প্রতিহিংমার রাজনীতি করছে। দ্রুত খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা প্রতাহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্বাধীনতার অঙ্গীকার ছিল, এদেশে মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে। অথচ আজ স্বাধীনকার ৫০ বছর পর দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। দেশে আজ ৪২ টি টেলিভিশন চ্যানেল, অনেক সংবাদপত্র। কিন্তু কেই স্বাধীন না। সরকারের বিরুদ্ধে সত্য বলতে গেলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে সরকার সাংবাদিকদেও জেলে পুওে রাখছে।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির পর একটি বেসরকারি হাসাতালের মালিককে জেলে নেওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালের মালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি করলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বহাল তবিয়তে আছেন।
বেলা ১১ টায় শুরু হওয়া সমাবেশে সকাল থেকেই ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে থাকে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও স সাংগঠনিক সম্পাদক ওরারেছ আলী মামুনসহ ময়মনসিংহ মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতারা।
গ/আ