Logo
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
অনলাইন নিউজ পোর্টাল গনরাজ24- ইতিমধ্যে পাঠক সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও নির্ভিক সংবাদকর্মীরা।  এই তালিকায় আপনাকেও যোগ হবার সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি । শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক/সমমান। অভিজ্ঞদের শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য । অভিজ্ঞতাঃ গণমাধ্যমে নূন্যতম ১/২ বছরের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । মোবাইল- 01784-262101, ই-মেইল- gonoraj24@gmail.com
শিরোনাম :
ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি‘র পণ্য বিতরণে অনিয়ম পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় দুর্ধর্ষ চোরি,ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল নবগঠিত শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল শম্ভুগঞ্জ ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল গৌরীপুর মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা সফর ৪১ সদস্য বিশিষ্টি চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের পুষ্পস্তবক অর্পণ ঐতিহ্যবাহী গৌরীপুর মহিলা কলেজে নবাগত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের যোগদান

সম্রাট জাহাঙ্গীরের ন্যায় বিচার

গণরাজ ডেক্স: ড. এম আহাম্মদ মল্লিক
  • আপডেটের তারিখ : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • সময় 3 years আগে
  • ২৪৩ বার পড়া হয়েছে
সম্রাট জাহাঙ্গীর। ছবি: সংগৃহীত।
“জানার আছে মুসলিম রাজত্ব”
ড. এম আহাম্মদ মল্লিক
সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে এক হিন্দু বৃদ্ধা এসে সম্রাট জাহাঙ্গীরকে নালিশ করলেন— “জাহাপনা, আমার সন্তান আপনার সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। প্রতিদিন রাতে কোন এক দুর্বৃত্ত এসে আমার বাড়িতে হামলা করে আর আমার পুত্রবধুর সতিত্ব
নষ্ট করতে চেষ্টা করে। আমি আপনার কাছে
আমার পুত্রবধুর সতিত্ব রক্ষার্থে বিচার চাই।”
সম্রাট জাহাঙ্গীর কিছু বললেন না। বুড়ি রেগে গিয়ে বললেন— “জাহাঙ্গীর, আমি তোমাকে হতে দেখেছি। তুমি যদি আমার পুত্রবধুর সতিত্বের দায়িত্ব না নাও আমি কিয়ামতের দিন তোমার স্রষ্টার আদালতের কাঠগড়ায় তোমাকে দাঁড় করাব৷ আমাকে দুই দিন সময় দাও; আমি তোমার রাজ্য ছেড়ে চলে যাব।” জাহাঙ্গীর কিছুই বললেন না;
তারপর বুড়ি বাড়িতে চলে গেলেন।
সম্রাট জাহাঙ্গীর তরবারি হাতে নিয়ে
ঘোড়ায় করে চলে গেলেন বুড়ির বাড়িতে।
অন্ধকার রাত, বুড়ির বাড়ির সামনে
টিম টিম করে আলো জ্বলছে। দরজায় একজন প্রহরী। জাহাঙ্গীর দূর থেকে শুনলেন মেয়েলি কণ্ঠের আওয়াজ— “বাচাও, বাচাও!” সম্রাট জাহাঙ্গীর।

সম্রাট জাহাঙ্গীর। ছবি: সংগ্রহীত

প্রহরীকে হত্যা করে বুড়ির ঘরে প্রবেশ করলেন। তারপর দুর্বৃত্তকে ধরে বুড়িকে বললেন— “বুড়ি!
আলো নিভাও।” বুড়ি আলো নিভিয়ে দিলেন আর সম্রাট জাহাঙ্গীর ওই দুর্বৃত্তের মাথা কেটে
মাঠিতে ফেলে দিলেন৷ তারপর বললেন— “বুড়ি!
আলো জ্বালাও এবার।” আলো জ্বালানোর পর
সম্রাট জাহাঙ্গীর দুর্বৃত্তের মুখ দেখে বললেন— “আলহামদুলিল্লাহ।” এরপর জাহাঙ্গীর ঢক ঢক করে পানি পান করে বুড়িকে বললেন— “কাল তুমি তোমার পুত্রবধুকে নিয়ে আমার দরবারে হাজির হবে।”
পরের দিন বুড়ি হাজির হলেন
সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজ দরবারে।
জমজমাট রাজদরবার৷ বুড়িকে জিজ্ঞেস করলেন— “আমি কেন আলো নিভাতে বলেছিলাম তুমি জান?”
বুড়ি বললেন— “নাহ, জানি না।”
সম্রাট জাহাঙ্গীর উত্তর দিলেন— “আমার ধারণা ছিল আমার বাড়ির এত কাছে আমার পুত্র ছাড়া
কেউ এ কাজ করার সাহস পাবে না৷
আমি আমার ছেলেকে হত্যা করতে পারব না,
মনে দুর্বলতা আসতে পারে,
বিচার নাহক্বও হয়ে যেতে পারে
তাই আলো নিভাতে বলেছিলাম।
কিন্তু, মুখ দেখার পর দেখি সে আমার ছেলে না,
তাই আলহামদুলিল্লাহ পড়েছিলাম।”
তিনি বুড়িকে আবার জিজ্ঞেস করলেন— “তুমি জান কেন আমি তোমার ঘরে গিয়ে পান করেছিলাম?”
বুড়ি উত্তর দিলেন— “জানি না।”
জাহাঙ্গীর বললেন— “তুমি যখন আমার দরবারে নালিশ করে বলেছিলে কিয়ামতের দিন আমাকে আল্লাহর আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে তখন থেকে দুশ্চিন্তায় কিচ্ছু খাই নাই, শুধু তোমার ঘরে গিয়ে এক গ্লাস পানি পান করেছি। আমার ভয় হয়েছিল আমি ন্যায় বিচার করতে পারব কি না।”
তারপর সম্রাট জাহাঙ্গীর নিজের মাথা থেকে মুকুট খুলে বুড়ির পায়ের নিচে রেখে বললেন— “বুড়ি, মনে রেখ— একজন মুসলমানের কাছে একজন হিন্দু পুত্রবধুর সতিত্ব সম্রাটের মাথার মুকুটের চেয়েও বেশি দামী।”
এই ছিল মুসলিম শাসকদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভারতে সাড়ে সাতশ বছরের মুসলিম শাসনামলে একজন অমুসলিমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এটাই মুসলিম শাসনের সৌন্দর্য। (সংগৃহীত)
গ/আ

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© স্বত্ব © ২০২3  গনরাজ24
Support : ESAITBD Software Lab Dhaka