রিপোর্টার: জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী, আহত স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন,এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়।
গত ২৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চকশ্যামরামপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারী শুক্রবার সুষ্ঠ বিচার পাওয়ার আশায় আহত শামসুল হক(৫৫) ও রোকসানা বেগম(৪৮) এর পুত্র মোঃ সাব্বির হোসাইন কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অভিযোগ ও ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়- গত ২৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা সময় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চকশ্যামরামপুর গ্রামের শামসুল হক(৫৫) ও রোকসানা বেগম(৪৮) নিজ জমি চাষ করতে গেলে একই গ্রামের বিবাদীগণ আনোয়ারুল ইসলাম(২৮),মজিবর রহমান(৪৫) উভয় পিতা মৃত আবু তাহের,জাকির হোসেন(৪২)পিতা মৃত নূর মোহাম্মদ মুন্সি,কিতাব আলী(৩১) পিতা তালেব আলী,সারোয়ার হোসেন(২৫)পিতা জাকির হোসেন,আঃ হালিম(৩০)পিতা হাসমত আলী,সাইমুন আলী ওরফে লতা ডাকাত(৫০)পিতা ইদ্রিস আলী,মফিজুল ইসলাম(৩৫)পিতা আঃ করিম,হযরত আলী(৫২)পিতা মৃত রাজ মাহমুদ,সাদ্দাম হোসেন(২৬) পিতা হযরত আলী,ফজলুল হক(৪৫) পিতা মৃত তোরাব আলী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ ভাবে আক্রমন চালায়।
এ সময় আসামী আনোয়ারুল হকের হুকুমে আসামী মজিবর রহমান তাঁর হাতে থাকা রামদা দিয়ে শামসুল হকের মাথায় কোপ দেয়। এসময় শামসুল হকের স্ত্রী রোকসানা বেগম স্বামীকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে দলবদ্ধ ভাকে আক্রমন করে আসামীগণ। এতে গুরুতর আহত হয় শামসুল হক ও তাঁর স্ত্রী রোকসানা বেগম। তাঁদের আর্থচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাঁদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শামসুল হক ০৮ ওয়ার্ডে ও তাঁর স্ত্রী রোকসানা বেগম ১০নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আক্রমনের এক পর্যায়ে আসামীগণ ক্ষেতে থাকা একটি পাওয়ার টিলার মেশিন ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অন্য একটি মামলার অভিযোগ সূত্রে যানা যায়- জমি সংক্রান্ত একই বিরোধের জেরে ইতিপূর্বে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর উক্ত আসামীদের কয়েক জন শামসুল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁর স্ত্রী রোকসানা বেগমকে কোপিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করা হয়। ঐ দিন আসামীগণ বাড়িতে লুটপাট করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যাওয়ার পূর্বে আসামীগণ বাদিপক্ষের লোকজনের প্রাণনাশেন হুমকি প্রদান করেছে বলে অভিযোগ সুত্রে যানা যায়।
৫৬ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ্য দিন ধরে আসামী পক্ষের লোক জনের সাথে শামসুল হকের বিরোধ চলে আসছে। এর পরিনতিতে গত বৃহস্পতি বার বেলা আনুমানি সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শফিকুল ইসলাম বলেন আনোয়ারেুল ইসলাম ও মজিবরের নের্তৃত্বে এক দল লোক এসে শামসুল হক ও তাঁর স্ত্রীর উপর হামলা করে, পরে আহত দুই জনকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। ফহমি আক্তার পাপ্পি নামে এক নারী জানান-দীর্ঘ্য দিন ধরে জমি নিয়ে এই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছে, চলমান বিরোধের জেরেই গত বৃস্পতিবার সকালে দিনেদুপুরে কোপিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে এই দম্পত্তিকে, আমি ফিরাতে গিয়ে মাইর খেয়ে সামান্য আহত হয়েছি।
১নং আসামী আনোয়ারুল ইসলামের সাথে মোঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান যে মারামারির সময় সে উপস্থিত ছিল, তবে সে মারামারি করেন নি, সে তার লোকজনকে মারামারি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন,তিনি শামসুল হকের মাথায় আঘাত করেন নি,কারা করেছে তিনি তা জানেন না। মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন-এ ঘটনায় থানায় ১১জন আসামীর নামে মামলা নেওয়া হয়েছে, আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।