রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন জানিয়েছে, মহড়ার অংশ হিসেবে সাগর ও স্থলভাগের নিশানায় হাইপারসনিক ও ক্রুজ; উভয় ধরনের ক্ষেণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। উভয় পরীক্ষাই সফল হয়েছে।
প্রতিবেশী বেলারুশের প্রেসিডেন্টকে পাশে নিয়ে স্ক্রিনে এই আয়োজন প্রত্যক্ষ করেছেন পুতিন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে মূলত নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে রাশিয়া। তার মূলত নিজেদের সামরিক সক্ষমতা জাহির করে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিতে চাইছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অবশ্য এই মহড়াকে রুশ বাহিনীর নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ বলে দাবি করেছেন।
এদিকে ইউক্রেনে হামলা চালালে অর্থনৈতিক খাতে রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। শনিবার জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, বলপূর্বক কোনও দেশের সীমান্ত বদলে দেওয়া উচিত নয়। ইউক্রেনে ফের হামলা চালালে মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা অর্থনৈতিক পদক্ষেপ প্রস্তুত করেছি যা হবে দ্রুত, তীব্র ও ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত। রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মূল শিল্পগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউজ নিশ্চিত। আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রুশ হুমকির বিরুদ্ধে পশ্চিমা দুনিয়াকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে