গত ১৯ মার্চ শনিবার সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে টিএসসিতে এ পোস্টারিং করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র হলো টিএসসি। ছাত্র শিক্ষক সহ সকল স্তরের মানুষের সজীব মিথস্ক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণে টিএসসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসির আধুনিকায়ন করা হলেও এখনো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান হওয়া নি। বর্তমানে সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধগতির প্রভাব বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনেও পড়ছে।ক্যাম্পাসের হোটেলগুলোতে বেড়েছে খাবারের দাম।বর্তমানে ক্যাম্পাসে খেতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মাসে কমপক্ষে ৩৫০০-৪০০০ টাকা খরচ হয়। টিএসসিতে একটু কম খরচে খাবার খেতে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী ভীড় করছে।
এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের কম খরচে ভালো খাবার নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা ছাত্র বিষয়ক বিভাগের দায়িত্ব। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ টিএসসির খাবারের মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আসন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারছেন না। ফলে তারা টিএসসি’তে খেতে পারছেন না।
তাই অবিলম্বে টিএসসিতে খাবারের মান উন্নত করে আসন সংখ্যা বাড়ানোর উপর জুড় দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে টিএসসি’র ক্যান্টিনে রাতের খাবার চালু করার দাবিো জানান তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন বর্তমানে টিএসসিতে চা পাওয়া যায়না। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চা পাওয়া যায়না এর চেয়ে অদ্ভুত আর কি হতে পারে!
তাই এসকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে টিএসসিতে পোস্টারিং করা হয়।
এসময় তারা বলেন- আমরা উপরোক্ত সমস্যাগুলো সমাধানে শিক্ষার্থীদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাই এবং ছাত্র বিষয়ক বিভাগের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।