কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় লালনের অহিংস মানব মুক্তির শিক্ষা ও আধ্যাত্মবাদ নিয়ে আলোচনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহীনুর রহমান ও লালন বিশ্লেষক অ্যাডভোকেট লালিম হক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মৃনাল কান্তি দে, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ জিপি অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান মাসুম, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রফিকুল আলম টুকু, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আমিনুল হক রতন, এনজিও সংস্থা দিশার নির্বাহী পরিচালক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরে মঞ্চে লালন সংগীত শুরু হয়। প্রখ্যাত লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন, শাহনাজ বেলী সমির বাউলসহ লালনের শিল্পীরা রাতভর সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখেন।
এদিকে মরা কালী নদীর পাড়ে বসেছে গ্রামীণ মেলা। হরেক রকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই তার জীবদ্দশায় প্রতি বছর চৈত্রের দোল পূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন।
১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার দেহত্যাগের পরও প্রথমে অনুসারীরা পরে লালন একাডেমি এ উৎসব চালিয়ে আসছে। করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ ছিলো লালন উৎসব। এবারের লালন উৎসবে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত, বাউল ফকিররা অংশ নিয়েছেন। ১৭ মার্চ শেষ হবে লালন উৎসব।
আ/গ